বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) আয়োজিত ‘২০১৯ ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সামিট’-এ প্রদান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মোবাইলফোনের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ’র সহযোগিতায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ দেওয়া হলেও অনেকের তা পছন্দ হয় না। তাদের চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করা পছন্দ। কিন্তু তা করলে তো হবে না। যার যে যোগ্যতা, সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নে আমাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, এখন যা করছি তার চেয়েও বেশি। এর মধ্যে মানবউন্নয়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিশ্বাস করুন, বিগত দিনগুলোতে দেশে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন এসেছে। এজন্য আমাদের মূল লক্ষ্যে ফোকাস রাখতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিশেষ উপদেষ্টা প্রফেসর ইমরান রহমান। তিনি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এমন আয়্জেন সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এরপর বিকাশের সিইও কামাল কাদির মোবাইল ব্যাংকিং বিষয়ে আলোচনা করেন।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য এবং জেমকন গ্রুপের পরিচালক তাহেরা হক বলেন, ‘আর্থিক খাতের গবেষক উদ্যোক্তা কিংবা অনুশীলনকারীদের জন্য সম্মেলনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সম্মেলন বিভিন্ন দেশের অতিথিদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার সুেযাগ করে দিয়েছে। আপনারা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শুনেছেন, তিনি বলেছেন- সরকার কিভাবে ফিনান্সিয়াল ইনক্লিউশনকে দেখে। আমার বিশ্বাস যারা তরুণ এবং শিক্ষানবিশ তারা প্যানেল আলোচনা থেকে কীভাবে এই খাতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সফল হওয়া যায় এবং এই খাতকে কিছু দেওয়া যায় সে বিষয়ে ধারণা পেয়েছেন। এটি একটি উদীয়মান সেক্টর এবং বড় একটি খাত। এখানে একটি বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।’
সমাপনী বক্তব্যে ইউল্যাবের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এইচ এম জহিরুল হক বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা বিভাগগুলোর কথা তুলে ধরেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফার্ন সফটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেব্বি বাটকিন্স। বক্তব্য রাখেন ইনোভেশন ফর পোভারটি অ্যাকশনের পরিচালক রেবেকা রোজ। সম্মেলনের প্রথম প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী, মাইক্রোসেভের ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী পরিচালক ভাবনা শ্রীবাস্তব, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সংস্থা সুইস কন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেকটর অনির্বাণ ভৌমিক এবং ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের সিইও ইমরান সদরুদ্দীন, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল মনির, ইউএনসিডিএফের কান্ট্রি প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর আশরাফুল আলম, বিআইএসির সিইও মোহাম্মদ এ আলী, ডি নেট গ্লোবালের পরিচালক ড. অনন্য রায়হান, গ্রামীণফোনের ফাউন্ডার চেয়ারপারসন খালিদ শামস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাজিদ অমিত।