বিজিএমইএ নির্বাচন

মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে হামলার শিকারের অভিযোগ স্বাধীনতা পরিষদের

স্বাধীনতা পরিষদের মানববন্ধনবাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে কাওয়ান বাজারে এক মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিজিএমইএ ভবনে এই ‘হামলার’ সময় মনোনয়নপত্র জমার প্রমাণপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। হামলার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের একজন সদস্যকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে মানববন্ধনে তুলে ধরা এক বিবৃতিতে জাহাঙ্গীর আলম দাবি করে বলেন, ‘শনিবার সকাল সোয়া ১০টার পর স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র (রিসিভ কপি) নিয়ে বিজিএমইএ'র নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর আহাদ আনসারি, আমজাদ হোসেন, ফিরোজ, লিটন প্রমুখের নেতৃত্বে কয়েকজন নির্বাচন কমিশন কার্যালয় কক্ষের বাইরে দাখিল করা নমিনেশনের রশিদ ছিনিয়ে নেয় ও প্রতিনিধিদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এতে বিজিএমইএ সদস্য ও সদস্যদের চারজন প্রতিনিধিসহ মোট পাঁচজন আহত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন, এম এইচ মোশতাক চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, শাহজাহান শেখ, আতিনুর রহমান, মো. আকরাম আলী।’
প্রসঙ্গত, দুই বছর মেয়াদি বিজিএমএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে প্রায় পাঁচ বছর পর, আগামী ৬ এপ্রিল। তফসিল অনুযায়ী, শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ মার্চ। আগামী ৬ এপ্রিল ৩৫টি পরিচালক পদের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৫ সালে সংগঠনটির দায়িত্বে আসা সিদ্দিকুর রহমান নেতৃত্বাধীন পর্ষদের মেয়াদ কয়েক ধাপে বাড়িয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০১৫ সালে বিজিএমইএ’র নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুরকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করেছিল। তবে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের আধিপত্য ভাঙতে আলাদাভাবে প্যানেল দিতে যাচ্ছে স্বাধীনতা পরিষদ।