অসাধু ব্যবসায়ীর সাহায্যকারীদেরও বিচার করা হবে: অর্থমন্ত্রী





অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল (ছবি: সংগৃহীত)অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের যারা সাহায্য করেছেন তারাও দায়ী। উভয়েরই বিচার করা হবে। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’
সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এ মতবিনিময় হয়।
আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘খেলাপি ঋণ হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর চক্রবৃদ্ধি সুদ অনেকটাই দায়ী। যারা খেলাপি ঋণের আওতায় পড়েছেন, তাদের আমরা মাফ করে দেবো। এ ছাড়া চক্রবৃদ্ধি সুদের পরিমাণটাও আমরা কমিয়ে দেবো। আগামী বাজেটের আগেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আরেকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সেখানে নিয়ে আসা ১০ বছরের কাজ।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক যদি খারাপই হবে, তাহলে কীভাবে আমরা সমৃদ্ধি অর্জন করছি। সুতরাং এটা সঠিক না। আমাদের লক্ষ্য হবে ভালোদের সাহায্য করা, খারাপদের শাস্তির ব্যবস্থা করা। শাস্তির ব্যবস্থাটাও আমরা কাউকে জেলে পাঠিয়ে করতে চাই না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে দৃশ্যমাণ পদক্ষেপ নিতে হলে আমাকে সময় দিতে হবে। আমি পদক্ষেপ নেবো, সেজন্য কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, “আমরা কাউকে কষ্ট দেবো না। একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা অনেক কষ্টের কাজ। প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা অনেক সহজ। আমরা চাই প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে চলুক। আর যারা অন্যায় করেছে, তারাও যদি এসে বলে, ‘আমি অন্যায় করছি, টাকা শোধ দিয়ে দেবো।’ তাহলে তাদেরও মাফ করে দেবো। দেশের স্বার্থে এ কাজটি করা হবে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যিকারভাবে, যথাযথভাবে আগ্রহীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে, যার যোগ্যতা আছে, কাজ করতে পারবেন, ব্যাংকিং বোঝেন, অ্যাকাউন্টিং বোঝেন, আইন বোঝেন, আমরা তাদের ব্যাংকের পরিচালক বানাবো।’
দেশের মানুষকে আবার ব্যাংকমুখী করার জন্য চেষ্টা করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।