রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আন্তরিক চেষ্টা চালানোর নির্দেশ





কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বাণিজ্য সচিবইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের বাংলাদেশের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রফতানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করতে হবে।’

বেলজিয়াম সফররত বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম রবিবার (২৪ মার্চ) বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেলসে ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কান্সিলরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ইউরোপের বাজারে ‘ট্রেড স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরগণসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ পেপারলেস ট্রেড এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এখন পেপারলেস ট্রেডে সক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপের বাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। বাজার সম্প্রসারণের জন্য কমার্শিয়াল কান্সিলরদের দায়িত্ব অনেক।

বাণিজ্য সচিব বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধিতে কমার্শিয়াল কান্সিলরদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের আমদানিকারকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশ্বমানের পণ্য সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা দিতে হবে। ব্যবসা সহজ করতে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ আমদানিকারকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আন্তরিক, কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুরুষদের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারাও এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে এখন নারী ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। নারী ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিলে বাণিজ্যের পরিধি বাড়বে। আগামীতে বিশ্ব বাণিজ্যে নারীদের সফলভাবে কাজ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।