সম্পূরক শুল্কের পুনর্বিন্যাস চায় বারভিডা





বারভিডাসম্পূরক শুল্কের হার পুনর্বিন্যাস (হাইব্রিড ও ফসিল ফুয়েলে চালিত গাড়ি) চায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। রবিবার (৩১ মার্চ) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে প্রাকবাজেট আলোচনায় বারভিডার প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডন এই আহ্বান জানান।
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় এনবিআরের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২০ শতাংশ করা, বিদ্যুৎচালিত মোটরগাড়ির সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ পাবলিক ট্রান্সপোর্টের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ শতাংশ করতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, উচ্চমূল্য, সিসি স্ল্যাব ও বিন্যাসে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হয়নি।
হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘গত বাজেটে হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়িকে সামান্য শুল্ক রেয়াত দেওয়া হলেও সেটা হাইব্রিড গাড়ির প্রযুক্তিগত উচ্চ মূল্য, সিসি স্ল্যাব ও হাইব্রিড গাড়ির বিন্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। ফলে চলতি অর্থবছরে হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হয়নি। একইসঙ্গে, উচ্চ শুল্কের কারণে জনপ্রিয় অনেক হাইব্রিড গাড়ি আমদানির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে না।’
গাড়ির অবচয় হার পুনর্নির্ধারণসহ চলতি বছরের জন্য (চেসিস বুকের তৈরি সন) শূন্য শতাংশ, প্রথম বছরে ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ২০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৩০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ৪০ শতাংশসহ পঞ্চম বছরে ৪৫ শতাংশ রাখার দাবি করেন। এ সময় আরও কিছু দাবি তুলে ধরেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে কাস্টম ডিউটি কত হয় আর পুরাতন গাড়ি আমদানিতে ডিউটি কত আসছে বাজেটে গাড়ির এই বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবো।’
হাইব্রিডকে উৎসাহিত করায় গত বছর এর ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব গাড়িতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যান্য সুবিধা বাড়ছে। ফলে আগামীতে এই সেক্টরে আরও সুযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া এবার দেশীয় গাড়ি প্রোডাকশনের জন্য নীতিমালা করা হবে। যাতে দেশীয় মোটরগাড়ি তৈরিতে এগিয়ে আসতে পারে। ইতোমধ্যে দেশে মোটরসাইকেল তৈরি হচ্ছে।’
এদিন এর আগে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে প্রাকবাজেট আলোচনা হয়।