এবার ১৩ লাখ টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

সংলাপে বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকআগামী ৫ বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সেইসঙ্গে আমরা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দিতে পারবো। আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরও বাড়বে। সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিত, তাহলে এত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না। এবার খাদ্য উৎপাদনের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার চেয়ে ১৩ লাখ টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হয়েছে।’

বুধবার (৩ এপ্রিল) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপে এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষির সার্বিক এই উন্নয়নরে জন্য মিডিয়া অপরিহার্য। মিডিয়া সারা পৃথিবীতে অপরিহার্য। সংবাদে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক বিধিবহির্ভূত কাজ ও অর্জন গণমাধ্যম তুলে ধরে। কোথায় কি কাজ হচ্ছে, তার গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে ঠিক পথে চলতে সহায়তা কররে। মিডিয়া বিদেশি বিনিয়োগ ও রফতানিসহ কৃষকদের কাছে কৃষিবিষয়ক নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করে।’

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম রেজা। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির (এপিএ) সদস্য মো. হামিদুর রহমান। 

পরে বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিকরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবের কথা তুলে ধরেন।  এছাড়া নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টিমান, সমন্বিত কৃষি, কৃষির উন্নয়ন, কৃষিপণ্যে রফতানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটূক্তি করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সমস্ত আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুত আমরা এ কাজও করতে পারবো। তাদের আশঙ্কা আমরা বারবার মিথ্যা প্রমাণ করবো।’

কৃষি তথ্য সার্ভিস এ সংলাপের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।