বিজিএমইএ’র নতুন কমিটির কাছে কী চান ব্যবসায়ী নেতারা

 

বিজিএমইএঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচিত কমিটির কাছে প্রত্যাশা তারা গার্মেন্টস সেক্টরের যে সমস্যা আছে তা সমাধানে কাজ করবে।’ তার মতে, বর্তমানে এ খাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে পিছিয়ে পড়া।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যের দাম কমে গেছে। আমার প্রত্যাশা, নতুন কমিটির উচিত হবে এই দাম বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করা। গার্মেন্ট সেক্টর এমনিতেই উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, তাই পণ্যের দাম না বাড়াতে পারলে চলমান সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে না।’

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা জরুরি। কারণ, নির্বাচনবিহীন কমিটি হলে সেই কমিটির কোনও কমিটমেন্ট থাকে না। এতে করে মালিকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হন।’

তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচিত কমিটি মালিকদের যেভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয় সিলেক্টেড কমিটি ওই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয় না।’

এ কে আজাদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে বিজিএমইএতে নির্বাচন হচ্ছে; এতে আমরা খুশি। এ নির্বাচনে জয়ীরা মালিকদের জন্য সর্বোপরি তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে কাজ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

বিজিএমইএয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমার মতে, ভোটারদের ভোট দেওয়ার অধিকার বাস্তবায়ন করা উচিত। এখানে যারা নির্বাচন করছেন তারা ব্যক্তিগতভাবে ও প্যানেলভিত্তিক আলাদা আলাদা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করলে গার্মেন্ট সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ১৫ এপ্রিল উত্তরা নতুন ভবনে যাচ্ছি। সেখানে নতুন কমিটি নতুনভাবে কাজ শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করি।’

ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘নির্বাচন হওয়ায় আমরা খুশি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

প্রসঙ্গত, ঢাকার ২৬ পরিচালক পদে দুই প্যানেলের ৪৪ জন প্রার্থী লড়ছেন। ২৬ পদে পূর্ণ প্যানেল দিয়েছে সম্মিলিত ফোরাম। এসব পদে স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থী ১৮ জন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনও বিরতি ছাড়াই ভোটগ্রহণ চলে। মোট ভোটার এক হাজার ৯৫৬ জন। এর মধ্যে ঢাকার ভোটার এক হাজার ৫৯৭ জন।

আরও পড়ুন...



বিজিএমইএ নির্বাচন চলছে, এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ