পিডিবি’র সভায় আশ্বাস

রমজানে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ

১২৩৪৫৫

রমজান মাসে মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা পুরোপুরি মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। বলা হয়েছে, রমজানে চাহিদা হবে ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং পুরোটাই উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যদিও ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৯ হাজার ৩৮৯ মেগাওয়াট আর দিনের বেলা সর্বোচ্চ চাহিদার সময় উৎপাদন ছিল ৬৯৩১ মেগাওয়াট।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে রমজানের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে দোকান মালিক সমিতিসহ গ্রাহকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা আলোচনা হয়।  

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ বিতরণ পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেক ভাল। তবে বিদ্যুতের সঞ্চালন এবং বিতরণে কিছু সমস্যা হওয়াতে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ গেলেও তা লোডশেডিং না, এটা বিদ্যুৎবিভ্রাট। উন্নয়ন কাজের জন্যও কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যা আমাদের মেনে নিতে হবে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদার সময় (পিক আওয়ারে) বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। পিক আওয়ারে হঠাৎ করে প্রথম ২০ থেকে ২৫ মিনিট চাহিদা এতটা বেড়ে যায়, যা পূরণ করতে আমরা হিমশিম খাই।’ এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য ওই সময় বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন সরঞ্জাম ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান।

রমজানে দোকানে বাড়তি আলো না জ্বালানো এবং ইফতার ও তারাবির সময় বিপণীবিতান এবং দোকানের এসি ব্যবহার না করতে অনুরোধ জানান ড. আহমদ কায়কাউস।  

বিকাল ৫টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি পাম্প বন্ধ রাখাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হয় বৈঠকে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূইয়াসহ ব্যসয়ায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

পিডিবির তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছর রমজানে (১৬ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত) দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ১০ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট, ২০১৬ সালে ৯ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালে চাহিদা ছিল ৮ হাজার ১২২ মেগাওয়াট। চাহিদার পুরোটাই উৎপাদন হয়েছে বলেও দাবি তাদের। তবে এসব সময়েও জনভোগান্তির কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।