উৎপাদননির্ভর অর্থনীতিতে মনোযোগ দেওয়া আহ্বান


বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম (ছবি: সংগৃহীত)বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে উৎপাদননির্ভর অর্থনীতিতে মনোযোগ দিতে হবে। প্রকৃত জিডিপি বাড়াতে হলে উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিডা ছাড়াও বেজা, বেপজা, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি, বিল্ড-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সভাপতিত্ব করেন।

দক্ষ জনবল তৈরিতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানকে কর সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেন আমিনুল ইসলাম। সত্যিই কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে ম্যানুফ্যাকচারিং বাড়াতে হবে। বাজেটে এসব ক্ষেত্রে এনবিআর পলিসি সাপোর্ট দিতে পারে মনে করেন তিনি।

সভায় বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বলেন, ‘ইনক্যাম ট্যাক্সের ফরম সহজীকরণ করা দরকার। ভ্যাটের রেট না বাড়িয়ে যদি ১২ শতাংশ করা হয় তাতে সরকারের ক্ষতি হবে না। ভ্যাটের অব্যাহতিপ্রাপ্ত করসীমা অন্তত ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করা যেতে পারে। নতুন ভ্যাট ও এসডি আইনে ১,২৭১টি পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক তুলে নিতে যাচ্ছে। কিন্তু একবারে তুলে না নিয়ে পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়াটা ভালো।’ তিনি ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বিদ্যমান আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন।

করপোরেট করহার কমানো, কর নিরীক্ষা ব্যবস্থা ও রিটার্ন ফরম সহজ করা, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে কার্যকর করা, কার্বন ট্যাক্স চালু করা ছাড়াও ভ্যাটের সর্বোচ্চ হার ১২ শতাংশ ধরে চারটি স্তর করা, ভ্যাট অব্যাহতি সীমা বিদ্যমান ৩৬ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা, এবং দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের (বার্ষিক বিক্রয়) ক্ষেত্রে এসএমই শিল্পের ন্যায় কমহারে ভ্যাট আদায় করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় সর্বোচ্চ করদাতাদের জন্য এনআইডি কার্ডের মতো ট্যাক্স পেয়ার কার্ড চালু করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা গবেষণা করে দেখেছি ২০১৫ থেকে এখন পর‌্যন্ত ৪০৮টি প্রতিষ্ঠান কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে। কর অব্যাহতি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট মানদন্ড নির্ধারণ, বড় প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া দরকার।’