লঞ্চের এসি কেবিনের ভাড়ায় ভ্যাট মওকুফ চায় যাপ

লঞ্চ

আগামী বাজেটে যাত্রীবাহী নৌযানের (লঞ্চ) এসি কেবিনের ভাড়ায় আরোপিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট মওকুফ চেয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সংস্থাটির সভাপতি মাহবুব উদ্দীন আহমেদ (বীর বিক্রম) এই প্রস্তাব করেন।

মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বলেন, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১-এর দ্বিতীয় তফসিল অনুযায়ী যাত্রীবাহী নৌযান সেবাকে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই নৌযানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেবার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপিত রয়েছে। যদিও পৃথিবীর কোথাও নৌযানে ভ্যাট নেই। শুধু তাই নয়, আমাদের পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত নৌযানের কেবিনের ওপর কোনও ভ্যাট নেই। তিনি বলেন, নৌযান পরিচালনার জন্য প্রধান উপকরণ জ্বালানি তেল, ডকইয়ার্ড, রঙ, প্লেট, অ্যাংগেল, এয়ারকুলারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভ্যাট দিয়েই কেনা হয়। লঞ্চের মালিকরা নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এসি চালান। এতে সরকারের কোনও সহযোগিতা নেই। এটি সেবামূলক ব্যবসা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষ নৌযান ব্যবহার করে। ফলে এখানে ভ্যাট যৌক্তিক নয়।

এ সময় চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমরা বিবেচনা করবো। আমরা কখনও চাইবো না কোনও সংস্থা লোকসানের মুখোমুখি হোক। আপনাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। এরপর এসি কেবিনে ভ্যাট থাকবে কি থাকবে না, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।