কৃষি ঋণের ১১ শতাংশই খেলাপি

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক

খেলাপির ছায়া পড়েছে কৃষি ঋণেও। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই- মার্চ) কৃষি খাতে ১৬ হাজার ২৬৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণের ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত মার্চ মাসের শেষে দেশের ব্যাংক খাতের বিতরণ করা কৃষি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, খেলাপি হওয়া ৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা কৃষি ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকেরই ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি)। বিদায়ী অর্থবছরে ব্যাংকটি নতুন ঋণ বিতরণ করেছে ৪ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। কিন্তু বিকেবি’র (আউটস্ট্যান্ডিং) চলমান কৃষি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়। এদিকে, ব্যাংকটির কৃষি ঋণে খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃ করা ঋণের ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ। সোনালী ব্যাংকের কৃষি ঋণে খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কৃষি ঋণে খেলাপির পরিমাণ ৭৫১ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬.৮৬ শতাংশ বেশি। কৃষি ও পল্লি ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ৯ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ১১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত (২০১৭-১৮) অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে বিতরণ করা হয় ২১ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা এবং আদায় হয় ২১ হাজার ৫০৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরেও কৃষিঋণ বিতরণের তুলনায় আদায় বেশি ছিল।