পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: বাণিজ্যমন্ত্রী





বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (ছবি: ফোকাস বাংলা)বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ বিশেষ সময়ে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এর আয়োজন করে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রতিটি বিভাগীয় কমিশনারকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে রমজান মাসকে সামনে রেখে কেউ চাঁদাবাজি বা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করার সুযোগ না পায়।’
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই ভোক্তা। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাই সতর্ক হলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমরা কাউকেই চাঁদাবাজি বা কোনও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ দিতে চাই না। ভোক্তা যাতে ন্যায্য মূল্যে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পণ্য পান, সে জন্য সরকার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকার আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। ভোক্তাকে অধিক সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, কোনও ভোক্তা অধিকার বঞ্চিত হয়ে অভিযোগ করলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ নগদ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এরমধ্যে অভিযোগকারীকে ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৩০২ টাকা দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবি খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। পণ্যের মজুত চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কোনও পণ্যের সংকট হবে না। বিগত দুই বছরের তুলনায় এবার অনেক পণ্যের মূল্য কম আছে। সারা বছর পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক থাকবে।’