খেলাপিদের পুনঃতফসিলের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি





বাংলাদেশ ব্যাংকবাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় ঋণখেলাপিদের বিশেষ পুনঃতফসিল নীতিমালার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। ফলে এ-সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্তও হয়নি। বুধবার (১৫ মে) বিকাল ৩টায় সময় দেওয়া থাকলেও সভা শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে।
প্রসঙ্গত, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরের পুনঃতফসিল সুবিধা পাবেন খেলাপি গ্রাহক। অর্থমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন পেয়ে গভর্নর ফজলে কবির গণভবনে যান। সেখানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকে আগামী বাজেট, ভ্যাট আইন, ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ, পুনঃতফসিলের বিশেষ নীতিমালাসহ আর্থিক খাতের বিভিন্ন বিষেয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভা শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল ৩টা। কিন্তু গভর্নরসহ অন্যান্য পরিচালকরা সাড়ে ৩টার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পৌঁছান। পরে বিকেল ৪টায় পর্ষদের সভা শুরু হয়ে ৪টা ৪৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায়। সংক্ষিপ্ত ওই পর্ষদ সভায় নিয়মিত কয়েকটি বিষয় আলোচনা হলেও বিশেষ ঋণ পুনঃতফসিল নীতিমালাসহ অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মুখপাত্র ও ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্ষদের সভা কিছু দেরিতে শুরু হয়। নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পর্ষদের কর্মসূচির বিবিধ আলোচনায় ঋণ পুনঃতফসিলসংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া শেয়ার বাজার সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী কিছু বিষয়েও আলোচনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেগুলোর বিষয়ে কোনও আলোচনা কিংবা সিদ্ধান্ত ছাড়াই পর্ষদের সভা শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ-সংক্রান্ত কোনও নির্দেশনা থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।