চেক প্রজাতন্ত্র সফররত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মঙ্গলবার (২১ মে) চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে বাংলাদেশ এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে ট্রেড প্রোমশন অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে সে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী কারেল হাবলিক চুক্তিতে সই করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই চুক্তি সইয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জয়েন্ট কমিশন গঠন করে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ইরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। গত বছর উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। উভয় দেশের বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে।
চুক্তি সইয়ের আগে উভয় দেশের মন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। চেক প্রজাতন্ত্রের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রু ইন্নয়নের ভূয়শি প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশে পাওয়ার জেনারেশন, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ, আইসিটি, পাটজাত পণ্য খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, চেক বিনিয়োগকারীরা এ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারবেন, এছাড়া বাংলাদেশও পণ্যের একটি বড় বাজার। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিটিকেলস, আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বিনিয়োগ করলে চেক বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারবেন।’
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী স্লোভেনিয়া সফর করেন এবং ‘ওয়াল্ড বি ডে’ প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি স্লোভেনিয়ার কৃষি, বন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মিস আলেকজেন্ডার পিভেক’র সঙ্গে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রী স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপার পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি ও রফতানি ক্ষেত্রে এ পোর্ট ব্যবহারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রসঙ্গত, এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক বিষয়ের ওপর জয়েন্ট কমিশন গঠিত হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নিয়মিত ভাবে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ এবং বাজার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। গত ১৭ মে অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন, তিনি আগামী ২৩ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।