ধানের মণ হওয়া উচিত ১২০০ টাকা: অর্থনীতি সমিতি

ধান বিক্রি (ছবি: ইন্টারনেট থেকে নেওয়া)

প্রতিমণ ধানের দাম এক হাজার ২০০ টাকা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অর্থনীতি সমিতির বাজেট প্রস্তাব অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০১৯-২০’ তুলে ধরা হয়।
আবুল বারকাত বলেন, উৎপাদন খরচের সঙ্গে শ্রমের মূল্য যোগ করে এবার ধানের দাম হওয়া উচিত ১ হাজার ২০০ টাকা। এ সময় তিনি কৃষকের এই দাম প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে আহ্বান জানান। কৃষি ফসলের উৎপাদন অঞ্চল গঠন ও কৃষককে কৃষিপণ্যের ন্যায্য বাজারমূল্য দেওয়ার প্রস্তাব করে তিনি বলেন, এ বছর বোরো ধানে কৃষকের মণপ্রতি প্রকৃত লোকসান হবে কমপক্ষে ৫০০ টাকা। এ নিয়ে সরকারের চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, আমরা মনে করি কৃষককে তার উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য বাজারমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য জরুরিভাবে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারিভাবে সংগ্রহের ক্রয়মূল্য উৎপাদন খরচের তুলনায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ বাড়াতে হবে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে সংগ্রহের ক্রয়মূল্য শুধু উৎপাদন খরচের তুলনায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ বাড়ালেই হবে না। নিশ্চিত করতে হবে, প্রকৃত কৃষকই যেন ঝামেলা ছাড়াই ওই বাজারমূল্য পান।’
আবুল বারকাত বলেন, বর্তমানে প্রতিমণ বোরো ধান উৎপাদনে ৬০০ টাকার বেশি উৎপাদন খরচের যে হিসাবটি দেওয়া হয়, তা সংশ্লিষ্ট কৃষাণ ও কৃষাণির পারিশ্রমিক বাদ দিয়ে করা হয়। ওই পারিশ্রমিক হিসাব করলে ধানের উৎপাদন খরচ আরও বেশি। তাই বোরো ধানের বিক্রয় মূল্য এক হাজার ২০০ টাকা করা উচিত।’

কৃষকদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা এবং কৃষিঋণ মওকুফের সুপারিশও করেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি।
প্রসঙ্গত, এবার বোরো ধান প্রতিমণ ১ হাজার ৪০ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। কিন্তু সরকারি কেনায় দেরি হওয়ায় ৫০০-৬০০ টাকায় দালালদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন অনেক কৃষক।