গ্রাহকসেবা বাড়াতে বিদ্যুতের সব দফতর আসছে ইআরপির আওতায়: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী




ইপিআর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় বক্তব্য রাখছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুদেশের ৯৩ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাত দেশের অন্যতম সেবা খাত। এত বড় সেবা খাত সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দ্রুত ডিজিটাল সেবা দিতে হবে। শিগগিরই বিদ্যুৎ বিভাগের সব দফতর বা প্রতিষ্ঠান ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং)-এর আওতায় আসছে। ইআরপি সিস্টেম চালু হলে কেন্দ্রীয়ভাবেই সব মনিটরিং করা যাবে। গ্রাহকের সেবার মানও বাড়বে।’বুধবার (১২ জুন) বিদ্যুৎ ভবনে ইআরপি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, আরইবির চেয়ারম্যান মে.জে. মঈন উদ্দিন (অব.), পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ দফতর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইআরপিতে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সেবাগ্রহীতা ব্যবস্থাপনা, হিসাব রক্ষণ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিক্রয়, সম্পদের হিসাব রক্ষণ, ক্রয় সব তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে। এখন যেভাবেই যে তথ্য সংরক্ষণ করা হোক, ইআরপি সফটঅ্যায়ার তা সরাসরি নিয়ে নেবে।

জানা গেছে, একটি অ্যাপস ডাউনলোড করার মাধ্যমে মোবাইল, ট্যাব এমনকি ডেস্কটপে কাজ করা যাবে। তাতে সময় বাঁচবে। রাস্তায় বসেই অনেক আপডেট দিয়ে কথা বলা সহজ হবে। এখন শুধু গ্রাহক অনলাইনে আবেদন করে। কিন্তু বাকি কাজ হয় হাতে হাতে। এই সফটওয়ার ইনস্টল করার পর পরের প্রত্যেকটি ধাপের কাজ করতে হবে। অনলাইনে এতে গ্রাহক চাইলে তার কাজের অগ্রগতি জানতে পারবে।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের কাজের পরিবেশ স্বস্তিজনক করতে ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্চ প্ল্যানিং) দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ইআরপি প্রয়োগ করার কোনও বিকল্প নেই। সংস্থার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এ সফ্টওয়ার কার্যকরি অবদান রাখবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহারে অনীহা দূর করতে হবে। দফতর প্রধান বা সচিব বা মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট অফিসের সার্বিক অবস্থা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে জানতে পারবেন।’ এতে উভয় পক্ষই উপকৃত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। /এসএনএস/এমএনএইচ/