দেশে কয়লা আমদানির প্রথম চুক্তি আগামীকাল

ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি.বায়ান রিসোর্স, টিবিকে’র কয়লাবাহী জাহাজকয়লা আমদানির জন্য ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি.বায়ান রিসোর্স, টিবিকে ও বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) চুক্তি সই হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে চুক্তিটি সই করা হবে। দশ বছর মেয়াদি এই চুক্তির আওতায় প্রতি বছর সাড়ে চার মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করা হবে। দেশে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এটিই প্রথম আমদানি চুক্তি।

চুক্তির আওতায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা সরবরাহ করবে পিটি.বায়ান রিসোর্স, টিবিকে। আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে পায়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে। তবে, এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করবে।  

বিসিপিসিএল সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি.বায়ান রিসোর্স, টিবিকে এই অঞ্চলের সব থেকে বড় কয়লা সরবরাহকারী কোম্পানির একটি। কয়লা উৎপাদনের সঙ্গে পিটি বায়নের রয়েছে বন্দর অবকাঠামো। প্রতি টন কয়লার বর্তমান মূল্য ধরা হয়েছে ৫৫ ডলার।এরসঙ্গে পরিবহন খরচ ২৫ ডলার যোগ হয়ে পায়রা পর্যন্ত পৌঁছাতে ব্যয় দাঁড়াবে ৮০ ডলার। কয়লা পরিবহনের জন্য জার্মানির কোম্পানি ওলডেনডরফ-এর সঙ্গে আলাদা চুক্তি করছে বিসিপিসিএল। ওই চুক্তিটির মেয়াদ পাঁচ বছর।ওলডেনডরফ বিশ্বব্যাপি বাল্ক শিপিং এ পরিচিত নাম।

বিসিপিসিএল-এর একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে কয়লা খালাস করার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করেছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটি জেটি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে কাভার্ড কনভেয়ার বেল্ট ও কোল ইয়ার্ড নির্মাণ করেছে।তবে কনভেয়ার বেল্ট ও কয়লা আনলোড করার যন্ত্রাংশ পরীক্ষার জন্য আরও এক মাস সময় প্রয়োজন হবে। এরপর আগামী জুলাইতে কয়লাবাহী প্রথম জাহাজ ভিড়বে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে।

পায়রায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বিসিপিসিএল। রাষ্ট্রায়ত্ত নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনা সিএমসি মিলে বিসিপিসিএল গঠন করেছে। কোম্পানিটিতে বাংলাদেশ ও চীনের সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে।

বিসিপিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরশেদুল আলম  বলেন, ‘এখন সরাসরি বন্দরের জেটিতে কয়লা আনা হবে।তবে আন্দামানে কয়লা ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।তখন সেখানে বড় জাহাজ এনে এক লাখ ৬০ হাজার টনের জাহাজে পায়রায় কয়লা আনা হবে।’ ততদিনে পায়রা বন্দরের খনন কাজও শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিসিপিসিএল জানায়, এখন ৫৫ হাজার টনের জাহাজে করে অর্ধেক ২৫ হাজার টন করে কয়লা আনা হবে। তবে, বন্দরে ৯ মিটার ড্রাফট হলে তখন বড় জাহাজে করে কয়লা আনা সম্ভব। এতে আমদানি ব্যয় প্রতি টনে অন্তত ৪ ডলার কমে আসবে।