মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্-এর আব্দুস সালাম মিঞাঁ, দ্য ইউনিয়নের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, এসিডি, ইপসা, তাবিনাজ, সুপ্র, বিটা, প্রজ্ঞা, ব্যুরো অব ইকনোমিক রিসার্চ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, নাটাব, প্রত্যাশা, টিসিআরসি, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, বিসিসিপি, এইড ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় এক যোগে একই সময় মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা আহসানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের মিডিয়া ম্যানেজার ওয়ালী নোমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক কোম্পানিকে ইনপুট ক্রেডিট সুবিধা দেওয়ায় কোম্পানিগুলো বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা কর রেয়াত করার সুযোগ পাবে। এই সুবিধা বাতিলে লক্ষ্যে অবিলম্বে তামাক করনীতি চালুরও দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
তামাকবিরোধী কোম্পানিগুলোর প্রত্যাশা, এই দাবিগুলো পূরণ হলেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সহজ হবে। জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে শুধু মূল্য পরিবর্তনের মাধ্যমে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম যথাক্রমে ২, ১৫, ১৮ এবং ১৮ টাকা বাড়িয়ে মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭, ৬৩ টাকা, ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা। এর ফলে, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো এবারের বাজেটে ব্যাপকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি না হওয়ায় সরকারের রাজস্ব বাড়ার কোনও সুযোগ থাকছে না। সরকারের এই পদক্ষেপে বিগত বছরের তুলনায় মূল্যস্তর ভেদে তামাক কোম্পানিগুলোর আয় ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে।
উল্লেখ্য, ‘গ্যাটস-২০১৭’ অনুযায়ী বলা যায়, বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব) তামাক ব্যবহার করে। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী ২ কোটি ২০ লাখ, ধূমপায়ী ১ কোটি ৯২ লাখ। টোব্যাকো এটলাস-২০১৮-এর তথ্য মতে, প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে।