বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে নেপাল





নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ সচিব দীনেশ কুমার ঘিনি এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদবাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে নেপাল। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে নেপালের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতাও করা হবে।
শনিবার (২২ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে তার বারিধারার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ সচিব দীনেশ কুমার ঘিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুই মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা চুক্তি অনুসারে সহযোগিতার নতুন নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করাও আবশ্যক।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দীনেশ কুমার ঘিনি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেপাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিশিং, নেপালের পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব প্রবীণ রাজ এরিয়াল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ধন বাহাদুর অলি।
নেপালি সচিব বিপুল ভোটে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে পুনরায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি আগামী আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেপালে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক এনার্জি মিনিস্টার মিটিংয়ে যোগ দিতে প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
নসরুল হামিদ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অবকাঠামোগত অবস্থা সচিবকে অবহিত করে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিশাল ক্ষেত্র সৃজন হয়েছে। প্রচুর বিদ্যুৎ প্রয়োজন। নেপাল ও ভুটান থেকে আমরা বিদ্যুৎ আমদানিতে আগ্রহী। এমনকী বিনিয়োগ করেও বিদ্যুৎ আনা যেতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২১ জুন) কক্সবাজারে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতাসংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য, নেপালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ, ক্রস বর্ডার সংযোগ, নেপালের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন, ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি, সোলার হোম সিস্টেম-সংক্রান্ত বিষয়ে নেপালকে সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।