ইমেজ তৈরির জন্য পণ্যের মান বাড়াতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কাজের মাধ্যমেই ইমেজ তৈরি করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ক্ষয়ে যাওয়া ইমেজ তৈরিতে পণ্যের মান বাড়াতে হবে।’ সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টার নামে পরিচিত রাজ্যগুলোয় বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে।’ তিনি  বলেন, ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাত ভালো করছে। এই ভালো অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি আমাদের রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের মাধমে তালিকা বাড়াতে হবে। এজন্য যা করা দরকার, তাই করতে হবে।’

রফতানি পণ্যের বাস্কেট বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়ে উল্লেখ করে  বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্পনগরী হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের ফলে সম্প্রতি চামড়া খাত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। যদিও এটিকে ভালো করার চেষ্টা করছি। সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নিয়ে যে সমস্যা, তা ঠিক করা হচ্ছে। তবে চামড়া শিল্পে ভালো ভালো পণ্য উৎপাদন হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন,  ‘বাংলাদেশে তৈরি চামড়ার জুতা, চামড়ার ব্যাগ খুবই জনপ্রিয় হয়েছে বিশ্বের অনেক দেশের ক্রেতাদের কাছে। তাই এই পণ্যটির জন্য আমরা নতুন বাজার খুঁজছি।’

বিশ্বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘এসব পণ্যের মধ্যে কোনটি কোন দেশের বাজারে ভালো বিক্রি হবে, তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি ওষুধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজের বাজার সৃষ্টি করতে পেরেছে। সেসব দেশে ৪/৫ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ।’

বাংলাদেশের সিরামিকও ভালো করছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাইভ স্টার হোটেলের জন্য তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইনের সিরামিক সামগ্রি চাহিদা অনুযায়ী রফতানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘রফতানি বাড়াতে অবশ্যই তৈরি পোশাক খাতকে দেওয়া প্রণোদনা বা সরকারি সহায়তা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি রফতানি বাড়াতে অন্য পণ্যকেও উৎসাহিত করা হবে। এজন্য তৈরি পোশাক খাতে দেওয়া সুবিধা অন্য খাতগুলোকে দেওয়া হবে। মোট কথা রফতানি পণ্যের বাস্কেটটি বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ২৫ কোটি মানুষের বাজারটি ধরতে চাই। ওই বাজারে আমরা প্রবেশ করতে চাই। পাশাপাশি রাশিয়ায়ও বাংলাদেশি পণ্যের বাজার যাচাই করতে চাই। সেখানে বাংলাদেশি কোন কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে, তা খুঁজে বের করছি। এজন্য আমরাও  বিভিন্ন দেশে যাচ্ছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি, এবারও রফতানিতে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’ রফতানি টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।