বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের এমন দর আরও কিছু দিন থাকবে। সামনে কোরবানির ঈদ, তাই পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়েছে। এ সময় মূল্য বাড়বে। এদিকে, কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃষ্টি ও বন্যায় কাঁচামরিচের ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে গাছ মরে গেছে। বন্যার পানি নেমে না গেলে নতুন চারা রোপণ এবং নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত কাঁচামরিচের বাজার এমনই থাকবে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় বাজারেই সবজি ও মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়ামূল্যে। এর প্রভাবে মাংস ও ডিমের মূল্যও বাড়তি। প্রতিপিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দরে। খামারিরা জানান, সরবরাহ কম, বৃষ্টি ও বন্যায় মুরগি নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগের প্রভাবে একদিকে মুরগি মরে যাচ্ছে, অন্যদিকে ডিম উৎপাদন কম হচ্ছে। ফলে চাহিদা মাফিক ডিমের সরবরাহ বাজারে মিলছে না।
বন্যা ও বৃষ্টি কমলে ডিমের দাম কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে কারওয়ানবাজারের ডিম ব্যবসায়ী মোবারক আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাজারে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম বেড়েছে। সবাই ভর করেছে ডিমের ওপর। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের সরবরাহ হচ্ছে না বাজারে। তাই সুযোগ বুঝে ডিমের দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা। তাই বাজারেও বেড়েছে ডিমের মূল্য।’
এদিকে, বন্যার প্রভাবে রাজধানীর বাজারে বাড়তি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশব্যাপী বন্যা ও টানা বৃষ্টির পানিতে সব ধরনের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা।
বন্যার প্রভাবে সব ধরনের সবজির মূল্য বেড়েছে। এ সময় প্রতিকেজি সব ধরনের সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। বেগুন, শসা, টমেটো, গাজর, ঝিঙ্গা, ঢেড়স, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কাঁকরোল, পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০, কচুরলতি ৬০ টাকা। প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
এদিকে, বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, সবজি, ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়ায় চাপ পড়েছে মাংসের ওপর। ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির মাংস। পাকিস্তানি কক (মুরগি) বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। বাজার ভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ’ থেকে ৫৭০ টাকা কেজি দরে।