নতুন মুদ্রানীতি কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধি সহায়ক: গভর্নর

গভর্নর ফজলে কবির (ফাইল ছবি)

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য মুদ্রানীতি (মনিটরি পলিসি স্টেটমেন্ট) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (৩১ জুলাই) জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এসময় গভর্নর বলেছেন, ‘অর্থবছরের প্রথমার্ধের নতুন এ মুদ্রানীতি হবে কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধি সহায়ক।’

নতুন মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমিয়ে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের জুন পর্যন্ত লক্ষ্য ছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মুনিরুজ্জামান, আহমেদ জামাল, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস. কে. সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমী, বিআইএফইউ-এর প্রধান আবু হেনা মো. রাজি হাসান, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামান।

গভর্নর জানিয়েছেন, নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।

গভর্নর আরও জানিয়েছেন, মুদ্রানীতিতে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ প্রশাসনের লক্ষ্যে ঘোষিত মুদ্রানীতি সংকুলানমুখী রয়েছে।

গর্ভনর জানান, নতুন মুদ্রানীতিতে গড় সুদের হার কমিয়ে আনা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের গড় হার কমে নেমেছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশে। নতুন মুদ্রানীতিতে সুদহার, নগদ জমা ও তরল সম্পদের বিধিবদ্ধমাত্রাগুলো আগের মুদ্রানীতি থেকে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে কোনও তারল্য সংকট নাই। বর্তমানে ব্যাংক খাতে ৮৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে।