বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ রিটার্ন বিপুল: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ‘ক্রমবিকাশমান বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ রিটার্ন বিপুল। চলমান উন্নয়নশীল কার্যক্রমে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন। এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস দিয়ে গত এক দশক ধরে জিডিপি ৭ ভাগের ওপরে রাখা হয়েছে। জ্বালানিখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সম্ভব।’

বুধবার (৩১ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে ‘গ্যাস ইন্দোনেশিয়া সামিট অ্যান্ড এক্সজিবিশন ২০১৯’ এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর মোহম্মদ আসলাম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়, সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বিশ্বে প্রথম, মিঠা পানির মৎস উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম, সবজি উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। সঠিক নেতৃত্বের জন্যই অল্প ভূমিতে বিপুল জনগোষ্ঠী নিয়েও এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্পট মার্কেট হতে এলএনজি আমদানি, ল্যান্ড বেইজড, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, অফশোর বা অনশোরে গ্যাস বা তেল অনুসন্ধান, এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গ্যাস সঞ্চালন ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এখনই বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা ট্যাক্স হলিডেসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।’

জানা যায়, ব্যবসায়ী অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগবান্ধব কথোপকথনকে উৎসাহিত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এই সামিট আয়োজন করা হয়েছে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে অর্থায়ন, প্রাকৃতিক গ্যাস সংহত করণের গতি উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে গ্যাস সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বৈচিত্র্য আনায়ন বিষয়ে এই সামিটে পর্যালোচনা করা হবে। ২০১৯ সামিটে জ্বালানি শিল্পের উন্নয়নে নীতি ও বিধিবিধান, সম্পদ উন্নয়ন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজি, তরুণদের পেশাদারিত্ব ও প্রতিভা বিকাশ, অবকাঠামোর ডিজিটালাইজেশন, অর্থ ও আইন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।৩১ জুলাই থেকে ২ আগষ্ট পযন্ত সামিট চলবে।