এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ-এর সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পোশাককর্মীরা যেন বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য আমরা চেষ্টা করছি। গত ঈদে সরকার আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বাস, ট্রেন ও লঞ্চের ব্যবস্থা করেছিল। ফলে শ্রমিকরা সুন্দরভাবে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘সব শ্রমিককেই যেন বেতন-বোনাস নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি।’
নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পোশাককর্মীরা যেন বাড়ি ফিরতে পারেন সে জন্য গত ২০ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন বিজিএমইএর সভাপতি। একইদিন বিআরটিসি চেয়ারম্যানের কাছেও আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য ১৭১টি বাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিসি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে লেখা বিজিএমইএ-এর সভাপতির আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়,‘দেশের পোশাক শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে ৪৫ লাখ এবং পরোক্ষভাবে দুই কোটি শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। তাদের অবদানে রফতানি বাণিজ্যের ৮৩ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আসে দেশের অর্থনীতিতে। এই জনশক্তির বেশির ভাগই মুসলিম। ফলে ঈদের ছুটি শুরু হলে ঢাকা ও আশপাশের ৪৫ লাখ শ্রমিকরা বাস ট্রেন ও লঞ্চের মাধ্যমে বাড়ি যেতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাতে বাস, ট্রেন ও লঞ্চের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। বাড়ি যেতে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপদে বাড়ি ফিরতে বাস দেওয়ার জন্য আপনার সহায়তা চাওয়া হয়।
একইভাবে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন ও লঞ্চের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলপথ ও নৌ মন্ত্রণালয়ের কাছেও আবেদন জানান রুবানা হক।