আর্জেন্টিনায় পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ




বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনাবাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। উচ্চ আমদানি শুল্ক হারের কারণে বাংলাদেশ আর্জেন্টিনায় প্রত্যাশা অনুযায়ী তৈরি পোশাক রফতানি করতে পারছে না। বাংলাদেশ গত অর্থবছরে আর্জেন্টিনা থেকে ৬২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যর পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে মাত্র ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আর্জেন্টিনায় রফতানি করেছে। ফলে দু’দেশের বাণিজ্য ব্যবধান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর্জেন্টিনায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) আর্জেন্টিনার উৎপাদন ও শ্রমমন্ত্রী ডান্টে সিকার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এসব কথা জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পাঠানো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৈঠককালে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের আমদানি শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনলে বা এফটিএ স্বাক্ষর করে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা প্রদান করলে রফতানি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী আর্জেন্টিনার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ উন্নত ও বিশ্বমানের তৈরি পোশাক স্বল্পমূল্যে বিশ্ব বাজারে রফতানি করছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আর্জেন্টিনায় রফতানি করতে তৈরি পোশাক আমদানির ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক হ্রাস করা একান্ত প্রয়োজন।

আর্জেন্টিনার উৎপাদন ও শ্রমমন্ত্রী ডান্টে সিকার বলেন, আগামী মাসে তৈরি পোশাকের উপর শুল্ক হ্রাস বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সভা করা হবে। এ সময় উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার খাত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগ্রহণের বিষয়ে একমত হয়।

এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী আর্জেন্টিনার কৃষি, প্রাণি ও মৎসপালন বিষয়ক মন্ত্রী লুইস এৎসেভেহারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা থেকে বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য যেমন: ভোজ্য তেল, শস্য, তৈলবীজ প্রভৃতি আমদানি করে। আর্জেন্টিনা কৃষি, পশুপালন, মৎসপালন, ক্রীড়া প্রভৃতি খাতে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।