নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনের সঙ্গে সমঝোতা





নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনা কোম্পানি চায়না মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) একটি সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সই করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টেনেন্টালে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সৌরর সঙ্গে বায়ুবিদ্যুৎ মিলিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
প্রাথমিকভাবে পাবনায় ৬০ মেগাওয়াট, সিরাজগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট সৌর এবং পায়রাতে ৫০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। পরবর্তীতে আরও ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে অনেক জমির প্রয়োজন হয়। আমাদের জমির সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুতের সঙ্গে মাছচাষ, পশুখামার ও শষ্য উৎপাদন কীভাবে করা যায় তা নিয়েও ভাবতে হবে। এটি করা গেলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির আরও প্রসার হবে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ প্রমুখ।
সমঝোতা স্মারকে সই করেন এনডব্লিউপিজিসিএল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম খোরশেদুল আলম ও সিএমসির চেয়ারম্যান রোয়ান গুয়াং।
স্বাগত বক্তব্যে খোরশেদুল আলম বলেন, অনেক দেশই ১০০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে দেশগুলো এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায়। চীন ও জার্মানি এজন্য কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের জমি সংকট এবং ঘনবসতির জন্য কৃষিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সঙ্গে একীভূত করা হবে।
ইতোমধ্যে পাবনার সুজানগরে ৬০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সরকার জমি দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগকে। সিরাজগঞ্জে একটি ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের জন্য জমি দেবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
২০৪১ সালের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত ১০ বছরে মাত্র ৩৮ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করতে পেরেছে সরকার। এ অবস্থায় এ উদ্যোগকে মাইল ফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।