আগস্টে প্রবাসী আয় ১৪৮ কোটি ডলার

রেমিট্যান্স

প্রবাসীরা সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। গত বছর একই মাসে এসেছিল ১৪১ কোটি ডলার। অবশ্য এই অর্থ বছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্টে) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৯ কোটি ডলার। যা ছিল মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৩০৮ কোটি ৫ লাখ (৩০৮.০৫ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

গত আগস্টে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। ৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১০৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। ৯টি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ১৮ হাজার ডলার। অবশ্য ইসলামী ব্যাংক একাই এনেছে ২৯ কোটি ৩১ ডলার। এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংক ১৬ কোটি এবং ডাচ্-বাংলা ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ডলার করে।

স্থানীয় বাজারে ডলারের উচ্চমূল্য এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে রবিবার প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে  ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৬ আগস্ট এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে।  তাতে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা পেতে ১ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত কোনও ধরনের কাগজপত্র লাগবে না।

দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স। বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। জিডিপিতে তাদের পাঠানো অর্থের অবদান ১২ শতাংশের মতো।