প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানী ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো, জুয়া বা অনৈতিক কার্যক্রম চলার সময় বিভিন্ন ধরনের ‘টোকেন’ ও ‘কয়েন’ ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই সর্তকতা জারি করলো। গত শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ক্লাবগুলোতে অভিযান শুরু করেছে র্যাব। মতিঝিলে শুরু হওয়া এই অভিযান রাজধানী ছাড়িয়ে এরই মধ্যে দেশের অন্য শহরেও বিস্তৃত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত কিছু হোটেল বা রেস্তোরাঁ ও শহরাঞ্চলের সন্নিকটে স্থাপিত বিভিন্ন বিনোদন পার্কে ব্যাংক নোটের আদলে বিভিন্ন মূল্যমানের খাবারের বিল, টোকেন, টিকিট ইত্যাদি ছাপিয়ে তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
টাকার আদলে এ ধরনের বিল, টোকেন বা টিকিট ব্যবহারের মাধ্যমে জনসাধারণ প্রতারিত হতে পারে। পাশাপাশি জালনোট প্রস্তুতকারী চক্রের প্রতারণা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, ব্যাংক নোটের আদলে খাবারের মূল্য, বিল বা কুপন প্রস্তুত এবং এর ব্যবহার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এরূপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষভাবে সতর্ক করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সতর্ক বার্তার পর থেকে কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।