ব্যাংকে টাকা রেখে দুর্ভাবনার কোনও কারণ নেই: অর্থমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীব্যাংকে টাকা রেখে দুর্ভাবনার কোনও কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার (৭ অক্টোবর) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন,  ‘প্রবাসীরা আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আমি বিশ্বাস করি দেশের সব খাত ঋণাত্মক দিকে প্রবাহিত হলেও রেমিটেন্স খাত কখনও পিছনের দিকে যাবে না। এছাড়াও এ বছর ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসবে।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন,  ‘অন্য দেশে টাকা রাখতে গেলে সুদ দিয়ে ব্যাংকে টাকা রাখতে হয়। কিন্তু আমরা টাকার বিপরীতে আপনাদের সুদ প্রদান করি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন,  ‘এই মুহূর্তে আমরা শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অতিক্রম করেছে। দিন দিন আমাদের রেমিটেন্স আহরণ বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।’রেমিটেন্সের বিপরীতে ২ শতাংশ প্রণোদনা সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ বলেও মনে করেন তিনি।

ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা প্রচলনের জন্য সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত করতে ৩৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রবাসী-আয় পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এবছর মোট পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রবাসী আয় পুরস্কার বা রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো, সাধারণ পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, রেমিটেন্স আহরণকারী ব্যাংক ও রেমিটেন্স প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ হাউজ।
রেমিটেন্স আহরণকারী শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেড।
রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশি মালিকানাধীন তিনটি এক্সচেঞ্জ হাউজকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা হল ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি (এসআরএল), এনইসি মানি ট্রান্সফার লিমিটেড ও প্লাসিড এনকে করপোরেশন।