আইটি ফ্রিল্যান্সাররা জানুয়ারিতেই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসছেন: সালমান এফ রহমান

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, ‘সরকার আইটি ফ্রিল্যান্সারদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ কাজটি এখন প্রায় শেষের দিকে। আগামী বছরের জানুয়ারিতেই শুরু হবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার কাজ। আইটি ফ্রিল্যান্সারদের রজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে তাদের আর কোথাও বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।’

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে ‘দ্য রোল অব মিডিয়া ইন প্রমোটিং এসএমই ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং প্রিজম বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আইটি ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিমাসে গড়ে ৩ থেকে চার লাখ টাকা আয় করলেও তাদের এই আয় সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। এই কারণেই দেশের ব্যাংকগুলো ফ্রিল্যান্সারদের পাওনা পরিশোধের সময় নানাবিধ প্রশ্ন করেন, প্রাপ্ত উত্তর ব্যাংকের পছন্দ হয় না। তাই ঝামেলা এড়াতে বেশিরভাগ আইটি ফ্রিল্যান্সার হুন্ডির মাধ্যম তাদের আয়ের টাকা বিদেশ থেকে দেশে আনেন। এতে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে ফ্রিল্যান্সারদের একটি ডাটাবেজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সালমান এফ রহমান জানান, ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এর কাজ শেষ হলেই প্রত্যেক আইটি ফ্রিল্যান্সারকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেকের কাছে রেজিস্ট্রেশন সনদ থাকবে। তখন এই সনদ দিয়েই ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন। আইটি ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাংক কোনও প্রশ্ন করবে না। এই সনদ দিয়ে তারা অন্যান্য কাজও সহজে করতে পারবেন। এর আগে এ বিষযটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।’

ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পসচিব মো. আব্দুল হালিম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আইটি ফ্রিল্যান্সারদের ডাটাবেজ শুরুর আগে ধারণা ছিল দেশে হয়তো দুই-এক লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। কিন্তু, দেশে এখন আইটি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। এরা প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স আয় করছেন।’