এছাড়া, আগামী ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর নিউ জিল্যান্ডের বাণিজ্য ও রফতানি প্রবৃদ্ধি বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতের উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি-রফতানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড কনফারেন্স এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ ৮শ’ চার দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে ৫শ’ ছিয়ানব্বই দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের আরও বেশি পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, নিউজিল্যান্ডেও বাংলাদেশের পণ্য রফতারির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। গত অর্থবছরে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ ৯১ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। এই সময়ে ২৪১ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর এ সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ২১ নভেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।