রফতানি ঋণের সুদের হার কমলো

বাংলাদেশ ব্যাংকরফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার বাড়ানোর পর এবার এই তহবিলের ঋণের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  এখন থেকে রফতানিকারকরা লন্ডন আন্তঃব্যাংক হারের (লাইবর) সঙ্গে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে ব্যাংক থেকে ইপিএফ ঋণ নিতে পারবেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ পেতে রফতানিকারকদের লন্ডন আন্তঃব্যাংক হারের (লাইবর) সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ দিতে হতো।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর জন্যও ইডিএফ তহবিলের ঋণের সুদের হার কমানো হয়েছে। এই তহবিল থেকে অর্থ নিতে আগে ব্যাংকগুলোকে লন্ডন আন্তঃব্যাংক হারের সঙ্গে আরও ১ শতাংশ সুদ দিতে হতো। এটা কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সুদ হার ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রফতানি উন্নয়ন তহবিলের আকার ৫০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ৩৫০ কোটি ডলার করা হয়। রফতানি খাতে সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে মাত্র তিন কোটি ডলার দিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে এই তহবিলের পরিমাণ এখন ৩৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইডিএফ থেকে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ আবার রফতানিকারকদের দিয়ে থাকে। এ তহবিলের ঋণের হার সাধারণ ঋণের হারের চেয়ে কম।

বিজিএমইএ বা বিটিএমএর সদস্য বস্ত্র বা তৈরি পোশাকের একজন রফতানিকারক তহবিলটি থেকে সর্বোচ্চ আড়াই কোটি (২৫ মিলিয়ন) ডলার ঋণ নিতে পারেন। এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের রফতানিকারকরাও এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরেই রফতানি আয় কমছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে ৩০৭ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ যা গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ কম। আর চলতি অর্থবছরের চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) হিসাবে রফতানি আয় কমেছে ৭ শতাংশের মতো।