পরিবহন ধর্মঘট ১০ দিন চললেও চালের বাজারে প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (ছবি সংগৃহীত)দেশের বাজারে চালের পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি কারসাজি না করে, তাহলে চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। দেশের প্রতিটি বাজারে যে পরিমাণ চাল আছে, সেখানে পরিবহন ধর্মঘট যদি ৮ থেকে ১০ দিনও চলে, তাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না। কেউ যদি এমন পরিস্থিতিতে অনৈতিকভাবে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। তা সহ্যও করা হবে না।’

হঠাৎ করেই চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, কৃষি, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। প্রয়োজনে নিজেরাও মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করবো।

এই মুহূর্তে দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত আছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, যে মজুত আছে, সেখানে আমরা চাল আমদানি নয়, রফতানির চিন্তা করছি। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম বাড়াটা অযৌক্তিক ও অনৈতিক।

খাদ্যমন্ত্রী চালের মূল্য যা বেড়েছে তা কমানো এবং আর যাতে না বাড়ে সেজন্য ব্যবসায়ীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান। চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষে মিল মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ (মিনিকেট রশিদ) সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মজুত পরিস্থিতি:

বর্তমান মজুত পরিস্থিতি বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গতবছর (২০১৮-১৯) দেশে মোট চাল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন। আমাদের বাৎসরিক চাহিদা হচ্ছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন। প্রতিজন ৪৬৯ গ্রাম চাল হিসাব করে বাৎসরিক চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। সে হিসাবে আমাদের পর্যাপ্ত চালের মজুত আছে। 


আরও পড়ুন:
চালের দাম বেড়েছে কেন?