বগুড়া-রহনপুর ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন হচ্ছে

বিদ্যুৎবগুড়া থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পর্যন্ত ৪০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন তৈরির করতে যাচ্ছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ দেশের ভেতরে সঞ্চালন করা ও সামগ্রিক সঞ্চালন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে এই লাইন তৈরি করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন তৈরির উদ্দেশ্যে বুধবার (২০ নভেম্বর) পিজিসিবির প্রধান কার্যালয়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কল্পতরু পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিমিটেডের সঙ্গে পিজিসিবি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

অনুষ্ঠানে পিজিসিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জাহাঙ্গীর আজাদ ও কল্পতরুর পক্ষে ব্যবস্থাপক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) অরিত্র বোস চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান, কল্পতরুর সিনিয়র ম্যানেজার জয় সরকার, ম্যানেজার সিদ্ধার্থ যাদব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বগুড়া থেকে রহনপুর পর্যন্ত ৪০০ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য ১০৪ কিলোমিটার। এর কাছের গ্রিড উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজ হিসাবে ২৩০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ১১ কিলোমিটার ও ১৩২ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ২৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনও তৈরি করা হবে। বুধবার পিজিসিবি ও কল্পতরুর মধ্যে স্বাক্ষরিত এ কাজের চুক্তিমূল্য ৫১৩ কোটি টাকা (প্রায়)। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবি, পিজিসিবি ও বাংলাদেশ সরকার সম্মিলিতভাবে এ কাজে অর্থায়ন করছে।

চুক্তিতে বলা হয়, আগামী ২৪ মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করে সঞ্চালন লাইন পিজিসিবির কাছে হস্তান্তর করবে কল্পতরু।

প্রসঙ্গত, ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপ ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে রহনপুর পর্যন্ত আনতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ আলাদা আরেকটি ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হবে। ওই লাইনে বিদ্যুৎ রহনপুর পর্যন্ত আনা হবে। রহনপুর থেকে এ বিদ্যুৎ বগুড়া হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালন করতে ১০৪ কিলোমিটার লাইনটি নির্মাণ করা হচ্ছে।