‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ না করলে দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে’

222মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ নিশ্চিত না হলে দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, মানি লন্ডারিং এমন একটি অপরাধ, যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এই অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ-সম্পত্তির উৎস গোপন করে তার অবৈধ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা ধরনের ঝুঁকির উদ্ভব ঘটায়। এসব অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি যথাযথ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর সর্বশেষ মিউচ্যুয়াল ইভ্যালুয়েশনের রিপোর্ট ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কমপ্লায়েন্সের রেটিং আশানুরূপ হলেও ইফেকটিভনেসের ক্ষেত্রে ঘাটতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজী হাসান বলেন, মিউচ্যুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্টের সুপারিশ মেনে বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে মানি লন্ডারিং বিষয়ক তদন্তে গতিশীলতা আনা অত্যন্ত জরুরি।
কর্মশালায় অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি), কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিরেক্টরেট (সিআইআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বিএফআইইউ’র ৩৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।