পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমেই এই বিনিয়োগ দ্রুত হবে বলে দেশটি মনে করছে। এ জন্য বাংলাদেশের জন্য একটি সমঝোতা চুক্তিও তারা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে অনেকদিন ধরেই।
সাক্ষাতে দুইজনের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে থাই অ্যাম্বাসির কাউন্সিলর ক্রাইচক অরুনপাইরোজকুলও উপস্থিত ছিলেন।
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত একটি খসড়া সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই সমঝোতা অপরিহার্য। জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির সঙ্গে অর্থনৈতিক, শিল্প ও সামাজিক উন্নয়নেরও অগ্রগতি হবে।’ তিনি বলেন, ‘জ্বালানি ফোরামের আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা এলপিজি বিষয় কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।’
অন্যদিকে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সব ধরনের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের আওতায় জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে। থাইল্যান্ডের সিয়াম গ্যাস, পিটিটি, সাইও ট্রিপল এ গ্রুপ বাংলাদেশে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, এলপিজি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের নিয়ে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে।’ তিনি এ সময় সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে দ্বি-পাক্ষিক সভার ওপর গুরুত্ব দেন।