এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হবে।’
এরপর মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন, ঠিক ওই সময়ে কমিশন বিদ্যুতের মূল্য নিয়ে গণশুনানি করছে। সুতরাং বিষয়টি শুধু আদালতের বিষয় বলে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’
এরপর সাংবাদিক সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চার্জশিটভুক্ত আসামি গণশুনানিতে অংশ নিতে পারেন? এটি বিইআরসির আইন সমর্থন করে কিনা?’ এমন প্রশ্নের জবাবে কোনও উত্তর দেননি কমিশনের চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী, কোনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করার সময় থেকে তিনি আর চাকরিরত থাকতে পারেন না। মামলা চলার সময়ে ওই অভিযুক্তকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার চার্জশিটে কমিশনের সদস্য আব্দুল আজিজ খানের নাম থাকার পরও তিনি শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন। কমিশনের আইন অনুযায়ী তাদের বিচারিক ক্ষমতাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে ১৫ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দেন।
এরপর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন দিনাজপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আজিজ আহমদ ভুঞা।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশের একদিন পর ২৩ আসামি দিনাজপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। এই সময় সাবেক ৬ জন এমডিসহ বাকি ২০ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আব্দুল আজিজ খান।