বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘অকুপেশনাল স্ট্রেস অ্যান্ড জব পারফরমেন্স অব ইমপ্লয়িজ ইন ব্যাংকস: বাংলাদেশ পারসপেকটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা চাকরির ক্ষেত্রে পেশাগত চাপের অন্যতম প্রধান কারণ। এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে—আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অর্থ আদায়। ব্যাংককর্মীদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যৌক্তিক লক্ষ্যমাত্রা দিতে হবে। শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে ব্যবসা টেকসই করতে যৌক্তিক লক্ষ্যমাত্রা দিতে হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংককর্মীদের চাকরির ক্ষেত্রে চাপ কমানোর বিষয়ে সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এরই মধ্যে মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের ছুটি নিশ্চিতকরণ ও ডে-কেয়ার সুবিধা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি চাকরির ক্ষেত্রে চাপ কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।’
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কিছু কর্মীর ওপর শীর্ষ ব্যবস্থাপনার নির্ভরশীলতা অনেক সময় চাপ সৃষ্টি করে। এটিকে পরিকল্পনার মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থাপনা করে কমিয়ে আনতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা তার বক্তব্যে ব্যাংকিং খাতে কর্মীদের ওপর চাপ কমাতে সঠিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংককর্মীদের ওপর অযৌক্তিক লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া যাবে না। দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে। একইসঙ্গে প্রমোশন এবং প্রণোদনার বিষয়ে স্পষ্ট নীতিমালা থাকলে মানবিক ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা সম্ভব।’
বিআইবিএম-এর সাবেক সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলি বলেন, ‘ব্যাংক কর্মীদের সন্তুষ্ট রাখতে পারলে পারফরমেন্স ভালো হবে।’
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ভালো পরিকল্পনা থাকলে চাপ কমানো সম্ভব। সবাইকে আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়। এটি কোনোভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এ ধরনের কাজে আলাদা টিম রাখতে হবে।’
ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে সঠিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হলে কর্মীদের ওপর কোনও ধরনের চাপ তৈরি হবে না।’