পাচার হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে ৯ সদস্যের কমিটি

অর্থ পাচার

পাচার হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থাটির একজন উপ-মহাব্যবস্থাপকের নেতৃত্বে  এই বিশেষজ্ঞ কমিটি পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিএফআইইউ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে কমিটির বাকি সদস্যদের ব্যাপারে কোনও তথ্য দেয়নি সংস্থাটি।

বিএফআইইউ বলছে, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের আওতায় একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে বুধবার একটি সার্কুলার জারি করেছে বিএফআইইউ। এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্যাংক বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব গাইডলাইনস/ম্যানুয়েল প্রস্তুত করে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে বিএফআইইউ তে দাখিল করবে এবং ১ জুনের মধ্যে এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচারকে উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় এ সম্পর্কিত কেস বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার প্রতিরোধে ব্যাংকের করণীয় বিষয়ে নীতিমালা জারি করবে। বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজে নিয়োজিত সব ব্যাংক কর্মকর্তাকে বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলা তদন্তে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরকে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া হবে।

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিএফআইইউ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ফোকাস গ্রুপ নীতিমালা এর খসড়া তৈরি করে।