কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের জারি করা সার্কুলারের বলা হয়েছে, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কোনও অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ শূন্য হলে পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ সহায়তার আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রিন্সিপাল অফিসে পাঠানো সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, এক অর্থবছরে ৫০ লাখ ডলার মূল্যের বস্ত্র বা বস্ত্রসামগ্রী রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে, এসব প্রতিষ্ঠান কোনও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন থাকতে পারবে না।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্পে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। তবে, বর্তমানে যেসব উৎপাদনকারী-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এক অর্থবছরে ৫০ লাখ ডলার মূল্যের বস্ত্র বা বস্ত্রসামগ্রী রফতানি করবে। পাশাপাশি কোনও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয়, এমন প্রতিষ্ঠান পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে।
প্রসঙ্গত, নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে এক শতাংশ হারে উৎপাদনকারী-রফতানিকারকদের বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজীকরণ করা তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে এই সহায়তা দেওয়া হবে।