এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারকে স্বাভাবিক করতে সহায়ক হবে। তারল্য সহায়তা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা পাওয়া যাবে। এছাড়া সরকারি ব্যাংকগুলোও শেয়ারবাজারে আসবে। ফলে এই বাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’
তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৯৬ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২২২ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার ১৭৭ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৭৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে ৭৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের দিন বুধবার ৬৫৭ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ৫০৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিন সোমবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনের সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি শেয়ারবাজারের এ বিনিয়োগকে নির্ধারিত সীমার বাইরে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ৭ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইনের বিভিন্ন ধারা শিথিল করে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া বিশেষ তহবিল সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকার এ তহবিল হবে ঘূর্ণমান। ব্যাংক নিজে বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব তহবিল ব্যবহার করতে হবে। তবে এসব তহবিল গঠন বা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে কাউকে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি।
এই ঘোষণার পর লেনদেনের পাশাপাশি মূল্যসূচকের বড় উত্থানও হয়েছে এই বাজারে। গত সপ্তাহে ৬৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বেড়েছে। ৩৬০টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২৪৬টির, আর কমেছে ৯৪টির, অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।