কয়লা তোলা হবে কৃষিজমির ক্ষতি না করে: নসরুল হামিদ

দিঘীপাড়া কয়লাখনি উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই এর খসড়া প্রস্তাবনা যাচাই বিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিবেশ ঠিক রেখে ও কৃষিজমির ব্যবহার  না কমিয়ে কয়লা তোলা যদি লাভজনক হয় কেবল তখনই কয়লা উত্তোলন করবে সরকার। প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রয়ারি) রাজধানীর পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে দীঘিপাড়া কয়লা খনির উন্নয়নের সম্ভাবনা যাচাই-এর খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করার সময় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে ভূমির অপর্যাপ্ততা রয়েছে। কয়লা উত্তোলন করা হলে বিশাল এলাকা কৃষি উৎপাদনে আর কাজে লাগানো যায় না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিজমি সংরক্ষণ করে কয়লা উত্তোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষিজমি নষ্ট হবে এই বিবেচনায় সরকার উত্তরবঙ্গের কয়লাখনি উন্নয়ন করা থেকে বিরত রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জ্বালানি খাতের মহাপরিকল্পনায় গৃহীত কার্যক্রম সমন্বিতভাবে দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট  সবাইকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে জ্বালানির রূপান্তর ও বহুমাত্রিক ব্যবহার চলছে। জ্বালানির মিশ্রন-এর ভালো বিকল্প  আমাদেরকেই স্থির করতে হবে। দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আগামী প্রজন্মের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের উদ্যোগ আমাদেরকেই নিতে হবে। সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ‘অপরচুনিটি কস্ট’ কোথায় বেশি তা খুঁজে বের করতে হবে। পরিবেশের সঙ্গে কৃষি জমির ব্যবহার হ্রাস না করে কয়লা উত্তোলন লাভজনক হলে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি এ সময় বলেন, বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এসময় নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে বাপেক্সকে অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ্-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।