দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণের ওপর সুদ হার সর্বোচ্চ ৯% নির্ধারণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনও ঋণের ওপর ৯% সুদহার ধার্য করার পরও যদি সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয় সেক্ষেত্রে যে সময়কালের জন্য খেলাপি হবে অর্থাৎ মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি কিস্তি এবং চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে মোট খেলাপি ঋণের ওপর সর্বোচ্চ ২% হারে দণ্ড অতিরিক্ত মুনাফা আরোপ করা যাবে।
প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণের বিদ্যমান সর্বোচ্চ সুদহার ৭% অপরিবর্তিত থাকবে। এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছর থেকে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে এসএমই’র ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ শিল্প খাতে দেওয়া সব ঋণের স্থিতি অব্যবহিত পূর্ববর্তী ৩ বছরের গড় হারের চেয়ে কোনোভাবেই কম হতে পারবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পসহ ব্যবসা ও সেবা খাতের বিকাশে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদহার বেশি হলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর ফলে ব্যাংকিং খাতে ঋণশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
গত কয়েক বছর ধরে ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার আলোচনা চলছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও নানা কারণে এর বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে আগামী ১ এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।