ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে পাশে চাইলেন পরিবেশমন্ত্রী

১২১

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি হতে গত পাঁচ বছরে প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনে সরকারের নিজস্ব তহবিলে গঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড হতে এখন পর্যন্ত প্রায় চারশ’ পঞ্চাশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে পরিপূর্ণভাবে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা কষ্টসাধ্য। এজন্য সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে পাশে চায়।’

রবিবার (৮ মার্চ) গুলশানের একটি হোটেলে কানাডার হাইকমিশন আয়োজিত ‘জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান হালনাগাদকরণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিযোজনের অগ্রাধিকার নিরসনে একটি কৌশলগত দলিল হিসেবে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। কপ-২৫ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারিবিলিটি ফোরামে (সিভিএফ)-এরসভাপতির দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হওয়ায় অতি শিগরিরই পরিবেশ অধিদফতরের সিভিএফ এবং ভালনারেবল-২০ গ্রুপের অফিস স্থাপন করা হবে। ওই অফিস থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফান্তে; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজীসহ কানাডিয়ান হাইকমিশন, সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।