শ্রমিকদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ বিজিএমইএ’র

বিজিএমইএদেশের সব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা যেন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পান, সেজন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে শ্রমিকদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

শুক্রবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত পানি ও সাবান রাখা, প্রয়োজনে গরম পানি সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ৯টি উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সার্কুলার দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় নির্দেশিকাটি কারখানা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব উদ্যোগে রঙিন প্রিন্ট করে কারখানার গেটে, নোটিশ বোর্ডে এবং সিঁড়িসহ বিভিন্ন স্থানে লাগাতে হবে। এছাড়া বিজিএমইএ নিজস্ব উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না—সে বিষয়ে একটি নির্দেশনা তৈরি করে কারখানাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজিএমইএ তার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারখানার সেফটি কমিটি, পার্টিসিপেশন কমিটি, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটিকে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং পরবর্তী সময়ে এই কমিটিগুলো আবার শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির নির্দেশনা দিয়েছে।

বিজিএমইএ’র উত্তরা অফিসে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি নজরদারি ও প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংগঠনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চারটি এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলো— ১. আশুলিয়া, সাভার ও নবীগঞ্জ, ২. গাজীপুর, শ্রীপুর ও মাওনা, ৩. ডিএমপি এলাকা ও ৪. নারায়ণগঞ্জ।

এছাড়া করোনা বিষয়ে যেকোনও তথ্য জানানোর জন্য বিজিএমইএ’র উত্তরা অফিসে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। এই হটলাইনে কল রিসিভ করছেন বিজিএমইএ’র প্যারামেডিক ও নার্স। হটলাইনে করোনা বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে সরেজমিন দেখা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাভিত্তিক কমিটিগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। মূল বিষয় হলো— করোনা প্রতিরোধে বিজিএমইএ কন্ট্রোল রুম এলাকাভিত্তিক চারটি কমিটি ও হটলাইন একযোগে কাজ করছে। বিজিএমইএ সরকারের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে, যেন জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের সেবা পাওয়া যায়।