বিএটিকে দেওয়া ‌‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রত্যাহারের দাবি




প্রজ্ঞা‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮’ এর তালিকা থেকে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোকে (বিএটিবি) বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। প্রজ্ঞা বলেছে, অবিলম্বে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮’ সংশোধন করে তামাক কোম্পানির নাম তালিকা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে একটি মৃত্যুবিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতির নামে পুরস্কার দেওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে প্রতিদিন ৩৪৫ জন মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যান। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সুতরাং তামাক কোম্পানিকে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্র এই মৃত্যুবিপণনকে উৎসাহিত করতে পারে না।

প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের আরও বলেন, ‌'তামাক কোম্পানিকে এ ধরনের পুরস্কার দেওয়ার অর্থ হচ্ছে তাদের ব্যবসাকে উৎসাহিত করা। অথচ, প্রধানমন্ত্রী তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তামাক ব্যবসাকে উৎসাহিত করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়।'

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তামাক জনস্বাস্থ্যের জন্য হানিকর পণ্য। তাই তামাকের ক্ষতি থেকে বিশ্ববাসীকে সুরক্ষার জন্য ২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফটিসিটি) প্রণয়ন করে। বাংলাদেশ এই এফসিটিস'র প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। বাংলাদেশে ২০১৭-১৮ সালে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।