১ এপ্রিল থেকে বিতরণ করা ঋণে সুদ নেবে ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকগত ৩১ মার্চের আগে বিতরণ করা ঋণে সুদ নেবে না ব্যাংক। তবে ১ এপ্রিল থেকে বিতরণ করা সব ঋণের ওপর ব্যাংকগুলো সুদ আরোপ করতে পারবে। সোমবার (৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।

রবিবার (৩ মে) সব ঋণের ওপর সুদ স্থগিত করা সংক্রান্ত সার্কুলারের সংশোধনী প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় স্পষ্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ঋণ/বিনিয়োগের ওপর আরোপিত/আরোপযোগ্য সুদ/মুনাফা ব্লকড হিসাবে এবং আয় খাতে স্থানান্তরের বিষয়ে গত ৩১ মার্চ-ভিত্তিক গ্রাহক পর্যায়ের ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতির ওপর উক্ত সার্কুলারের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। ১ এপ্রিল থেকে নতুনভাবে বিতরণ/উত্তোলনকৃত ঋণ/বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ৩ মে জারি করা সার্কুলারটি শুধু ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখ-ভিত্তিক গ্রাহক পর্যায়ের ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতির ওপর উক্ত সার্কুলারের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।

এর আগে রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে দুই মাস (গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত) সব ধরনের ঋণের সুদ স্থগিত করার নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আরোপিত বা আরোপযোগ্য সুদ বা মুনাফা ‘সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে’ স্থানান্তর করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্লকড হিসাবে স্থানান্তরিত ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কোনও সুদ আদায় করা যাবে না এবং ব্যাংকের আয় খাতেও স্থানান্তর করা যাবে না।

কোনও ব্যাংক ইতোমধ্যে কোনও ঋণের সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করে থাকলে তা রিভার্স এন্ট্রির মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে, ব্লকড হিসাবে রক্ষিত মুনাফা বা সুদ সমন্বয়ের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে অবহিত করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণ ও গতিশীল রাখার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।