২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। একইভাবে তিনি রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। তবে বাজারে এসব পণ্যের দামে এর কোনও প্রভাব লক্ষ করা যায়নি।
রাজধানীর বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম বেশ কিছু দিন যাবৎ কমেছে। তবে বাজেটের কারণে নতুন করে চালের দাম কমেনি। অন্যদিকে শুল্ক আরোপ করায় পেঁয়াজের দাম বাড়ার কথা থাকলেও দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই কমেছে। খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছু দিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ এসেছে। দেশি পেঁয়াজও পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আর রোজা ও ঈদ চলে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের চাহিদাও আগের মতো নেই। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কমেছে। অবশ্য পাইকারিতে চিনির দাম কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেন মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী গোলাম মাওলা। তিনি বলেন, ‘আজ শুক্রবার বন্ধের দিন। বেচাবিক্রি নেই। তবে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সন্ধ্যার পর চিনির দাম প্রতি বস্তায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাজেটের প্রভাব হয়তো শনিবার (১৩ জুন) থেকে ধীরে ধীরে পড়তে পারে।’
বাজারে সবজি ভরপুর থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে।
কেজিতে ১০ থেকে বেড়ে পটল, ঝিঙা, চিচিঙা-ধন্দুল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে, ঢেঁড়স, কচুর লতি, বেগুন ৪০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০-১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২৫ টাকা।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন