‘জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার’

 

ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। অফিসগুলোর আর্কিটেকচার অনুযায়ী অফিস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এলপিজি বা সিএনজি সিলিন্ডার বা অন্যান্য সিলিন্ডার ট্যাকিং করার উদ্যোগ নিলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত  প্রকল্পগুলোর মে ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন, অগ্রগতি ও গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা’  শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের  জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে একটা মহাপরিকল্পনা থাকা জরুরি। কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইনে চালানোর বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের জন্য এর পরিচালনা পর্ষদে দক্ষ ও পেশাদারী লোক রাখা সময়ের দাবি।’

২০১৯-২০ অর্থবছরের আরএডিপিতে বরাদ্দ ও মে ২০২০ পর্যন্ত ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত’  ৩২টি প্রকল্পের  বাস্তবায়ন ও  অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। করোনার জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মালামাল আনতে না পারার জন্য মে ২০২০ পর্যন্ত  এসব প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৫৬ দশমিক ৮০ ভাগ, যা ৩০ জুনের মধ্যে ৮৫ ভাগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ভার্চুয়াল এই  সভায় এ সময় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এ কে মহিউদ্দিন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের,  ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন।