শুরু হলো সোনা আমদানি, প্রথম চালান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের

সোনাসরকারের বেঁধে দেওয়া আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী সোনার প্রথম চালান আনলো ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। মঙ্গলবার (৩০ জুন) ১১ কেজি পাকা সোনার চালান দেশে এনেছে তারা। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। 

এর আগে গত ১০ জুন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড তাদের গোল্ড ডিলারশিপের অনুকূলে ১১ কেজি বা ১১ হাজার গ্রাম পাকা সোনা আমদানির জন্য আবেদন করে। আবেদনটি যাচাই বাচাই করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তি দেয়। নীতিমালার বিধান অনুসরণ করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মঙ্গলবার (৩০ জুন) সোনা আমদানি করে। এমিরেটস এয়ালাইন্সের একটি বিশেষ বিমান সোনার চালানটি নিয়ে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।

এর আগেও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএম ৪ এর মাধ্যমে রাফ বা অমসৃণ ডায়মন্ড আমদানি করে কাটিং ও পলিশিং করে পলিশড ডায়মন্ড বিদেশে রফতানি করে।

এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এফবিসিসিআই’র ভাইস-পেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ জয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান সব সময় চেষ্টা করি আমাদের সেরাটি উপহার দিতে। প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়ার জন্য নয়।  এর ফলে এ দেশের জুয়েলারি ইতিহাসে একটি সোনালী অধ্যায়ের যুক্ত হলো।’

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৪৮ বছরের ইতিহাসে ২০১৮ সালে এদেশের জুয়েলারি শিল্পের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ স্বর্ণনীতিমালা প্রণয়ন করা হয় যা  স্বর্ণনীতিমালা ২০১৮ নামে অবহিত। এ নীতিমালায় দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও রফতানি বাণিজ্য সম্পসারণের জন্য সোনা আমদানীর জন্য গোল্ড ডিলার নিয়োগের বিধান রাখা হয়।

বিধি মতে গোল্ড ডিলার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের মার্চমাসে সার্কুলার দেয়। এই সার্কুলারে আনমানিক ৫০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক আবেদন করলেও সব শর্ত পূরণ না হওয়ায় মাত্র ১টি ব্যাংক ও ১৮ টি প্রতিষ্ঠানকে নবায়নযোগ্য দুই বছর মেয়াদী লাইসেন্স দেওয়া হয়।

কিন্তু বিদ্যমান শুল্ক জটিলতার কারণে লাইসেন্স পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেও কোনও প্রতিষ্ঠান সোনা আমদনিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। সর্বশেষ (২০২০-২০২১) মেয়াদের বাজেটে বাংলাদেশ  জুয়েলার্স সমিতির দাবি মেনে আমদানি পযায়ে সোনার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।